ঢাকা ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাসায় প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এটলাস তৈরি করলেন অনন্যা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০১৯
  • ১৭৭ বার

যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে ব্ল্যাক হোল নিয়ে গবেষণা করে পিএইচডি লাভ করলেন বাংলাদেশি তরুণী তনিমা অনন্যা।

নাসায় প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ২০১১ সাল থেকে কাজ করা অনন্যা ‘ওরায়ণ নেবুলা’ নামে একটি তারকা গুচ্ছের এটলাস তৈরি করেন হাবল টেলিস্কোপের সাহায্যে।

শুক্রবার দেশ রূপান্তরকে এ কথা জানিয়েছেন তার বাবা মোহাম্মাদ আব্দুল কাইয়ুম।

তিনি জানান, তার গবেষণার বিষয়টি ছিল এক্স-রে দ্বারা বিগত সাড়ে ১২ বিলিয়ন বছরে এই ধরনের সুপার ম্যাসিভ ব্ল্যাক হোলের একটি সেনসাস তৈরি করা। এই সেনসাস তৈরি করতে তিনি একটি নিউরাল নেটওয়ার্ক কোড করেন।

অনন্যা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ডার্টমুথ কলেজে একজন পোস্টডক্টোরাল রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট হিসেবে কাজ করছেন। এর বাইরে তিনি ইউরোপিয়ান নিউক্লিয়ার রিসার্চ সেন্টারে কাজ করেছেন। এছাড়াও, তিনি তার পিএইচডির অংশ হিসেবে জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউট ফর এষ্ট্রাটেরেষ্ট্রিয়াল ফিজিকসে ব্ল্যাক হোল নিয়ে গবেষণা করেন।

তিনি ঢাকার মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং কলেজ থেকে ২০০৮ সালে এ-লেভেলে ছয়টি সাবজেক্টে এ পান। ২০০৬ সালে তিনি কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল থেকে ও-লেভেলে পরীক্ষায় দশটি এ এবং চারটি ডিস্টিংশন পান ।

তার মা শামীম আরা বেগম সন্তানদের পড়াশোনা নিয়ে সদা মনোযোগী এবং সকলের দোয়াপ্রার্থী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নাসায় প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এটলাস তৈরি করলেন অনন্যা

আপডেট টাইম : ০৮:০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০১৯

যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে ব্ল্যাক হোল নিয়ে গবেষণা করে পিএইচডি লাভ করলেন বাংলাদেশি তরুণী তনিমা অনন্যা।

নাসায় প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ২০১১ সাল থেকে কাজ করা অনন্যা ‘ওরায়ণ নেবুলা’ নামে একটি তারকা গুচ্ছের এটলাস তৈরি করেন হাবল টেলিস্কোপের সাহায্যে।

শুক্রবার দেশ রূপান্তরকে এ কথা জানিয়েছেন তার বাবা মোহাম্মাদ আব্দুল কাইয়ুম।

তিনি জানান, তার গবেষণার বিষয়টি ছিল এক্স-রে দ্বারা বিগত সাড়ে ১২ বিলিয়ন বছরে এই ধরনের সুপার ম্যাসিভ ব্ল্যাক হোলের একটি সেনসাস তৈরি করা। এই সেনসাস তৈরি করতে তিনি একটি নিউরাল নেটওয়ার্ক কোড করেন।

অনন্যা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ডার্টমুথ কলেজে একজন পোস্টডক্টোরাল রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট হিসেবে কাজ করছেন। এর বাইরে তিনি ইউরোপিয়ান নিউক্লিয়ার রিসার্চ সেন্টারে কাজ করেছেন। এছাড়াও, তিনি তার পিএইচডির অংশ হিসেবে জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউট ফর এষ্ট্রাটেরেষ্ট্রিয়াল ফিজিকসে ব্ল্যাক হোল নিয়ে গবেষণা করেন।

তিনি ঢাকার মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং কলেজ থেকে ২০০৮ সালে এ-লেভেলে ছয়টি সাবজেক্টে এ পান। ২০০৬ সালে তিনি কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল থেকে ও-লেভেলে পরীক্ষায় দশটি এ এবং চারটি ডিস্টিংশন পান ।

তার মা শামীম আরা বেগম সন্তানদের পড়াশোনা নিয়ে সদা মনোযোগী এবং সকলের দোয়াপ্রার্থী।